সাতক্ষীরা জেলার ভৌগলিক প্রোফাইল
অবস্থানগত দিক দিয়ে দেখলে সাতক্ষীরা জেলার অবস্থান বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে। জেলার উত্তর গোলার্ধে নিরক্ষ রেখা এবং কর্কটক্রান্তি রেখার মধ্যবর্তী ২১°৩৬´থেকে ২১°৫৪´ উত্তর অক্ষাংশে এবং৮৮°৫৪´ থেকে ৮৯°২০´ দ্রাঘিমাংশেঅবস্থিত। উচ্চতার দিকে বিবেচনা করলে এ অঞ্চল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আনুমানিক ১৬ ফুট উচুঁতে। জেলার সীমানা যেভাবে নির্ধারিত হয়েছে তাতে উত্তর-দক্ষিণে দীর্ঘ। বর্তমানে এ জেলার আয়তন ৩৮৫৮.৩৩ বর্গ কিলোমিটার। তবে এ বিস্তীর্ণ অঞ্চলের সব অংশে জনবসতি নেই। এর মধ্যে প্রায় এক তৃতীয়াংশ বনাঞ্চল। সুন্দরবনের মধ্যে যে পরিমাণ ভূমি তার পরমাণ ১৪৪৫.১৮ বর্গ কিলোমিটার। ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক দিয়ে তাকালে এ জেলার পূর্বে খুলনা জেলা,পশ্চিমে চব্বিশ পরগণা জেলার (ভারত) বসিরহাট মহকুমা, উত্তরে যশোর জেলা ও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর।
সাতক্ষীরা জেলার ভূ-প্রকৃতির অধিকাংশই সমতল, অল্প কিছু ভূমি অসমতল। জেলার ভূ-প্রকৃতিকে তিনটি অঞ্চলে ভাগ করেছেন ভূ-প্রকৃতিবিদগণ। এগুলো- ১) গাঙ্গেয় পলল ভূমি ২) মিশ্র গাঙ্গেয় পলল ভূমি এবং ৩) গাঙ্গেয় কটাল পলল ভূমি।
জেলার মাটির গঠন প্রকৃতি উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে দু’রকমের উঁচু। এখানে সাধারণত শস্যের ফলন ভাল হয়। দক্ষিণাঞ্চলের মাটি লোনা ও এঁটেল। সমুদ্রের সাথে এ অঞ্চলের নদীগুলোর সরাসরি সম্পৃক্ততার কারণে নদীগুলো বয়ে আনে লবণাক্ত পানি। জোয়ার ভাটার কারণে এই লবণাক্ত পানিতে প্লাবিত হয় দক্ষিণাঞ্চলের জনপদ। এ অংশে শস্যের ফলন অপেক্ষাকৃত কম। বর্তমান ভেড়ীবাঁধ দিয়ে ব্যাপক হারে মাছের চাষ করা হচ্ছে।
উল্লিখিত দু’প্রকারের ভূমি ছাড়াও সাতক্ষীরা জেলায় নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানি বিধৌত হওয়ার কারণে বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি ও ক্ষয়ের প্রক্রিয়া সচল। এই প্রেক্ষিতে দক্ষিণাঞ্চলে নদীর পলি ও পচনযুক্ত কালো উদ্ভিদের সংমিশ্রণে এক প্রকার মাটি সৃষ্টি হয়েছে। এর নাম জৈব মাটি।বিশেষ উন্নত অবস্থায় পৌছানোর পর এ মাটিতে ভাল ফসল জন্মে।সাতক্ষীরা জেলার জলবায়ু ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ুর অন্তর্ভূক্ত। এখানে শীতকালে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ও গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে প্রচুর মৌসুমী বায়ু প্রবাহিত হয়। মৌসুমী বায়ুর কারণে জেলায় বৃষ্টিপাতের হার অপেক্ষাকৃত অধিক ।
সাতক্ষীরা মূলত পলিবিধৌত সমভূমি । এই সমভূমির মাটি বালিমিশ্রিত । ভূমি সংগঠনের দিক থেকে জেলার মৃত্তিকা উত্তর অঞ্চল এবং দক্ষিণ অঞ্চল দুই ভাগে ভাগ করা যায় ।উত্তরাঞ্চলের মাটি দোয়াঁশ এবং পলিবহুল সেখানে ধান,পাট,শাক,সবজি ইত্যাদির চাষ ভালভাবে হয়ে থাকে । এই এলাকাকে প্রাচীন উচু ভূমি বলা যেতে পারে । যমুনা-ইছামতি এবং কপোতাক্ষের মধ্যবর্তী দক্ষিণ অঞ্চলের মাটি লোনা এটেল । জোয়ার ভাটার জন্য সামুদ্রিক পানি দক্ষিন অঞ্চলের নদীগুলোতে প্রবাহিত হয় বলে সেখানে মাটিতে লবনাক্ততার ভাগবেশি ।নদীতীরবর্তী অঞ্চলে ষাট এর দশকে উচু বাঁধ নির্মান করার ফলে ধান এবং অন্যান্য ফসলাদির চাষাবাদ সম্ভব হয়েছে । তা সত্ত্বেও নিম্নঅঞ্চলের অবক্ষেপনের ফলে এখনো স্থানে স্থানে ভূমি সংগঠন চলছে । দক্ষিণ অঞ্চলের বিলে জলজ পচনশীল উদ্ভিদ ও নদীর পলি সংমিশ্রনে কালো ও আঁশযুক্ত এক প্রকার মাটির স্তর গড়ে ওঠে । তার নাম জোব মাটি । যতদিন পর্যন্ত এই সংমিশ্রিত মাটি এক বিশেষ উন্নত স্তরে না পৌছায় ততদিন ভালো ফসল জন্মায় না ।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তের একটি জেলার নাম সাতক্ষীরা । সুন্দরবনের কোল ঘেষে অবস্থিত এ জনপদের ভূ-প্রকৃতি, ইতিহাস-ঐতিহ্য, সভ্যতা-সংস্কৃতি প্রভৃতি সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে হলে তার নদ-নদী, প্রাচীন স্থাপত্য, দিঘি ইত্যাদি সম্পর্কে জানা দরকার । বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে বিষয়টির মুল্য অনেক বেশি ।
যে জলধারা পাহাড় হ্রদ প্রভৃতি থেকে উৎপন্ন হয়ে বিভিন্ন জনপদের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় তাকে নদী বলা হয়। তবে পন্ডিতেরা এ ধরণের জলস্রোতের কমপক্ষেচারক্রোশের অধিকদূর প্রবাহমান থাকার কথা বলেছেন । আর দুই মাইলের কিছু বেশি (৮০০ হাত) পথকে একক্রোশ বা কোশ বলা হয় । ব্যাকরণগত দিক দিয়ে একে আবার দুভাগে ভাগ করা যায়্ । যে বহমান জলধারার নামের সাথে পুরুষবাচক প্রত্যয়(অ) যুক্ত আছে তাকে নদ বলা হয়। যেমন-ব্রক্ষ্মপুত্র, কপোতাক্ষ । আর যার নামের সাথে স্ত্রীবাচক প্রত্যয় (আ.ই.ঈ) যুক্ত আছে তাকে বলা হয় নদী । যেমন পদ্মা, ইছামতি, ভাগীরথি । নদী আমাদের ভূ-প্রকৃতির যেমন: একটি উল্লেখযোগ্য দিক তেমনি নদীতে নিয়ে রচিত হয়েছে নানাবিধ সাহিত্যকর্ম (গান, কবিতা ইত্যাদি) ।
সাতক্ষীরা জেলা একসময় প্রচুর নদ-নদী, খাল-বিল, হাওর-বাঁওড়ে পূর্ন ছিল । যার অনেকগুলো আজ নাব্যতা হারিয়ে বিলীন হয়ে গেছে । কোথাও কোথাও ভরাট হয়ে চাষাবাদ চলছে । এই সাতক্ষীরার ওপর দিয়ে উপমহাদেশের বিখ্যাত নদী গঙ্গা-পদ্মার বেশ কয়েকটি শাখা নদী বহুমুখীত হয়ে সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে ।
নিচে সাতক্ষীরা জেলার প্রধান নদ-নদী সমূহের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হলো ।
কপোতাক্ষ
কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতি বিজড়িত কপোতাক্ষ নদ যশোর জেলার কেশবপুর, চৌগাছা ও ঝিকরগাছার ভেতর দিয়ে সাতক্ষীরা জেলায় প্রবেশ করেছে । পরে পাটকেলঘাটা, তালা প্রভৃতি প্রসিদ্ধ স্থান স্পর্শ করে রাড়ুলির নিকট শিবসা নদীতে মিশে গেছে । কপোতাক্ষ নদ খুলনা- সাতক্ষীরার সীমানা নির্দেশ করে ক্রমশ দক্ষিণ দিক অগ্রসর হয়ে শ্যামনগর উপজেলার চাঁদনিমুখার কাছে আড়পাঙ্গাশিয়া নামধারণ করে সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে মালঞ্চ নদীর সাথে মিলিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে ।
ইছামতি ও যমুনা
গঙ্গা নদীর দুটো বিশিষ্ট শাখা নদী ইছামতি ও যমুনা । ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণগঞ্জের কাছে মাথাভাঙ্গা নদী একটি শাখা চুনি নামধারণ করেছে । সেখান থেকে একটি শাখা ইছামতি নাম ধারণ করে সর্বপ্রথম অগ্রসর হয়েছে । এটি পশ্চিমবঙ্গের বনগ্রাম (বনগাঁ) অতিক্রম করে সর্বপ্রথম কলারোয়া উপজেলার চান্দুড়িয়া সীমানা স্পর্শ করে কিছুদূর আন্তর্জাতিক সীমা বরাবর প্রবাহিত হয়ে পুনরায় ভারতের ভেতরে গোপালপুরে প্রবেশ করেছে ।
অতঃপর গোবরডাঙ্গার দক্ষিণে চারঘাটের কাছে টিপির মোহনায় যমুনা-ইছামতি মিলিত হয় এবং এখানে যমুনা ইছামতির কাছে আত্মসমর্পণ করে নিজের নাম বিলুপ্ত করে দেয় । যমুনা নদীর বৈশিষ্ট্যের কথা বলতে গিয়ে সতীশচন্দ্র মিত্র লিখেছেন, যমুনার যেন একটা স্বভাব এই যে, সে অধিক দূর পর্যন্ত একক অগ্রসর হইতে পারে না । তিনি লিখেছেন, ইছামতি সোজা দক্ষিণে প্রবাহিত হয়েছে । বাংলাদেশ-ভারত সীমা নির্দেশ করে দেবহাটা উপজেলার টাউনশ্রীপুর,দেবহাটা প্রভৃতি গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কালিগঞ্জ উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের উত্তর সীমা দিয়ে পূর্বমুখে প্রবাহিত হয়েছে । পরে কালিগঞ্জের পাশে পুনরায় দক্ষিণমুখী হয়ে শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর পৌছিয়েছে । তবে স্থানীয় অধিবাসীগণ কালিগঞ্জ থেকে যে খালটি বর্তমানে শ্যামনগরে বহমান আছে তাকে মরা যমুনা হিসেবেই জানে । কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা আর শ্যামনগরের খানপুরের কাছে জাহাজঘাটা নামক স্থানটি বিগতযৌবনা যমুনারই স্মৃতি বহন করেছে। যমুনা নদীর হারানো ঐতিহ্যের আরো পরিচয় পাওয়া যায় প্রচলিত প্রবাদটির ভেতরে – যমুনা নদী মরবে না, অধিকারীরা পড়বে না । যমুনা নদীর এই দূর্দশার কারণ হিসেবে বিভিন্ন গ্রন্থাদি আর লোকমুখ থেকে জানা যায়, বাংলা ১২৭৪ সালের ১২ কার্তিক (১লা নভেম্বর ১৮৬৭) তারিখে এ অঞ্চলে ভিষণ ঝড় হয় । এতে এক রাত্রে সুন্দরবনের ১২ ফুট পর্যন্ত পানি বেড়ে যায় । পরদিন যমুনার স্রোতে ভিষণ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় । বালি জমে যমুনার গতি অনেক মন্দা হয়ে যায় । কালিন্দীর জোয়ার যমুনায় প্রবেশ করে তাকে দোটানা করে দেয়। ফলে অল্প দিনের মধ্যে যমুনা প্রায় শুকিয়ে যায় ।
ঈশ্বরীপুরের নিকট যমুনা -ইছামতি আবার দুভাগে বিভক্ত হয়েছে ॥ যমুনার ডানদিকে (পশ্চিমে) কিছুটা অগ্রসর হয়ে ‘মাদার’ নাম নিয়ে দক্ষিণমুখী হয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করে কিছুদূর গিয়ে আবার ‘যমুনা’ নাম নিয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে । আর ইছামতি বামদিকে ঈশ্বরীপুরের পূর্বপাশ দিয়ে ‘কদমতলী’ নাম ধারণ করে মুন্সিগঞ্জে সুন্দরবনের সীমা নির্দেশ করে কদমতলী বন অফিসের কাছে ‘মালঞ্চ’ নাম ধারণ করে সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে
কালিন্দী
কালিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমে বসন্তপুরে যমুনা থেকে একটি শাখা সোজা দক্ষিণে প্রবাহিত হয়েছে। এটি কালিন্দী নামে পরিচিত । এই নদী বর্তমানে বাংলাদেশ-ভারতে সীমানা নির্দেশ করছে। রাজা প্রতাপাদিত্যের সময় কালিন্দী সাধারণ খালের মতো ছিল । ১৮১৬ সালে খনন করে একে আরো দক্ষিণে কলাগাছিয়া নদীর সাথে যোগ করা হয় । পরবর্তীকালে বানে কালিন্দী বড় নদীতে পরিনত হয় বলে কথিত আছে । আন্তর্জাতিক সীমানা বরাবর প্রবাহিত হয়ে কালিন্দী রায়মঙ্গলের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে ।
কাকশিয়ালী
কালিন্দীকে কলাগাছিয়ার সাথেযোগ করার আগে কালিগঞ্জের যমুনা থেকে একটি খাল কেটে পূর্ব দিকে উজিরপুরের নিকটে গলঘেসিয়ার সাথে যুক্ত করা হয় ।এটি ‘কাকশিয়ালী’ নদী নামে পরিচিত । বৃটিশ ইঞ্জিনিয়ার উইনিয়াম ককশাল এই খাল খনন করেন । তার নামানুসারে এই খালের নাম হয় ‘কাকশিয়ালী’।
বেতনা
ভৈরবের একটি শাখা নদী বেতনা । যশোর জেলার নাভার-বাগাছড়া প্রভৃতির উপর দিয়ে সাতক্ষীরা জেলায় প্রবেশ করেছে । কলারোয়া পৌরসভার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা, বিনেরপোতা হয়ে পূর্ব-দক্ষিণে বুধহাটার গাং নাম ধারণ করেছে । অতঃপর আরও দক্ষিণে মানিকখালিতে মরিচ্চাপের সাথে মিলিত হয়েছে । এখানথেকে একটি শাখা পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বড়দলের উপর দিয়ে কপোতাক্ষে যুক্ত হয়েছে আর অপর শাখা দক্ষিণে খোলপেটুয়ার সাথে মিশেছে ।
খোলপেটুয়া
আশাশুনি উপজেলার মানিকখালিতে বেতনা ও মরিচ্চাপ নদী খোলপেটুয়া নাম ধারণ করে দক্ষিণ মুখে এগিয়ে চলেছে । পথিমধ্যে কাপসন্ডা, গোরালি প্রভৃতি স্থান স্পর্শ করে ঘোলা নামক স্থানে গলঘেসিয়া নদীর সাথে যুক্ত হয়েছে । অতঃপর আরও দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে শ্যামনগর উপজেলার নওয়াবেকির পাশ দিয়ে বুড়িগোয়ালিনিতে আড়পাঙ্গাশিয়া নাম ধারণ করেছে এবং পারশেমারির নিকট কপোতাক্ষের সাথে মিলিত হয়েছে ।
গলঘেসিয়া
শ্যামনগর উপজেলার ঘোলা নামক স্থানে খোলপেটুয়া নদী থেকে একটি শাখা নদী প্রথমে শ্যামনগর-আশাশুনি পরে কালিগঞ্জ-আশাশুনি উত্তরদিকে প্রবাহিত হয়েছে ।এটি ‘গলঘেসিয়া’নামে পরিচিত । পথিমধ্যে বাঁশতলা, মহিষকুড়, শ্রীউলা প্রভৃতি স্থান স্পর্শ করে এটি যমুনা প্রবাহ কাকশিয়ালী নদীর সাথে মিলিত হয়েছে । বর্তমানে ‘গলঘেসিয়া’ নদীর অনেক স্থানে ভরাট হয়ে গেছে । ফলে ভাটার সময় এটি দিয়ে বড় ধরণের নৌযান চলতে পারে না । এতে এ নদীর তীরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহি মহিষকুড় হাটও অনেকটা গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে ।
মরিচ্চাপ
এই নদী সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ওপর দিয়ে এল্লারচর হয়ে ক্রমশ দক্ষিণ-পুর্বমুখী হয়ে আশাশুনি উপজেলায় প্রবেশ করেছে । আশাশুনি উপজেলার কামালকাটি, শোভনালী, চাপড়া প্রভৃতি স্থান স্পর্শ করে মরিচ্চাপ মানিকখালিতে বেতনা ও খোলপেটুয়া নদীর সাথে মিলিত হয়েছে ।
প্রাণসায়র
ব্রিটিশ আমলে সাতক্ষীরার বিখ্যাত জমিদার প্রাণনাথ রায়চৌধুরী এল্লারচর নামক স্থাানে মরিচ্চাপ নদী থেকে একটি খাল খনন করে সাতক্ষীরা পৌরসভার ওপর দিয়ে উত্তর দেকে নৌখারি খালের সাথে সংযোগ করেন । এটি প্রাণসায়র, প্রাণসায়ের বা সায়রের খাল নামে পরিচিত । সাতক্ষীরা শহরের প্রাণকেন্দ্র দিয়ে প্রবাহিত এই ঐতিহাসিক খাল প্রায় মজে গেছে ।দু’পাশে অবৈধ স্থাপনা, দোকানপাটা স্থাপনের ফলে প্রাণসায়র তার অতীত ঐতিহ্য হারাতে বসেছে ।
দক্ষিন তালপট্টি দ্বীপ
দক্ষিন তালপট্টি দ্বীপ সাতক্ষীরা জেলার হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মোহনা অবস্থিত। এ দ্বীপটির অপর নাম হচ্ছে নিউমুর বা পূর্বাশা। দ্বীপটির আয়তন ৮ বর্গ কিলোমিটার । দ্বীপটির রয়েছে অপরুপ সৌন্দর্য। এটি নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিরোধ বিদ্যামান।
[সাতক্ষীরা জেলা তথ্য বাতায়ন থেকে]
Related Posts
আমাদের সাতক্ষীরা ও হোম সাতক্ষীরা
আমাদের সাতক্ষীরা সাগর বনানী মধূপ কূজনে সাতক্ষীরা মোহময় পথিক সুজনে ডাকে নিরজনে প্রাণের বারতা কয়Read More
8 Comments to সাতক্ষীরা জেলার ভৌগলিক প্রোফাইল
Leave a Reply
For Posting a Comment You must be Logged In.
thanks….
Now i’m feeling a complete Satkhirian………..
আনেক কিছুই নতুন করে জানলাম……….
thanks for information
Very nice information.
u give us too much information about our dist thank u apu
thank u from all of us (সাতক্ষীরা বাসী )
Thanks for your Information.
Thanks for your mining full Information
buy