ভূমিকম্প, সুনামি এবং বাংলাদেশের সম্ভাব্য পরিণতি! আসুন আমরাও ভেবে দেখি
আজ নেট ঘাটতে গিয়ে লেখাটা প্রাসঙ্গিক মনে হল । তাই আপনাদের সঙ্গেও শেয়ার করলাম। আমরা যারা ঢাকাতে থাকি তারা প্রতিনিয়ত ভূমিকম্পের ভয়ে থাকি । ঈদের আগের দিন ২/৩ বার ভূমিকম্প হল এবং এখন মাঝে মাঝেই হয়, এটা নাকি বড় ভূমিকম্পের পূর্বাভাস । আসুন সকলে সতর্ক হই ।
পৃথিবীতে প্রতিদিনই ভূমিকম্প হয়। যে কম্পের মাত্রা একটু বেশী হয়ে যায় তা আমরা অনুভব করি এবং মাঝেমাঝে চরমভাবে অনুভব করি।
এই পোষ্টে থাকছে ভূমিকম্প কেন হয়? ভূমিকম্পের সাথে প্রাসঙ্গিক কিছু বিষয় ও সুনামী সম্পর্কে সম্যক ধারণা। বাংলাদেশ ভূমিকম্প ও সুনামী’র দ্বারা কতটুকু আক্রান্ত হতে পারে ও উপস্থিত করণীয় কি?
ছবি ছাড়া ধারণা দেয়া কষ্টকর বিধায় অসংখ্য ছবি যোগ করা হয়েছে।
পৃথিবীর ব্যবচ্ছেদ:
ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে পৃথিবীকে ব্যবচ্ছেদ করলে তিনটি প্রধান অংশ কোর (কেন্দ্র), ম্যান্টেল (মাঝের অংশ) এবং ক্রাষ্ট বা পৃষ্ঠ। দুই প্রকার ক্রাষ্ট বিদ্যমান -একটি হলো কন্টিনেন্টাল (মহাদেশীয়–স্থলভাগের পৃষ্ঠকে বোঝানো হয়) আর একটি ওশানিক (সামুদ্রিক — সাগরের পৃষ্টকে)।
কেন্দ্র থেকে ভূপৃষ্ঠ পর্যন্ত। ম্যান্টেল এর উপরের অংশকে ২ টি ভাগে ভাগ করা যায়। একটি লিথোস্ফেয়ার (Lithosphere) যা মূলত শক্ত পদার্থ দিয়ে তৈরী। আর একটি হলো লিথোস্ফেয়ার এর নিচে অ্যাসথেনোস্ফেয়ার (asthenosphere ) যা গলিত পদার্থ দিয়ে তৈরী (plastic flowing )। লিথোস্ফেয়ার এর বহিরাংশই ক্রাষ্ট বা পৃষ্ঠ।
আর একটু পরিস্কারভাবে।
প্লেট (tectonic plates) (বা পৃথিবীর থালা বলা যেতে পারে):
পৃথিবীকে ঘিরে নিচের ছবির মত অসংখ্য ভগ্নাংশ রয়েছে। যেগুলোকে প্লেট বলা হয়। বেশ কিছু মেজর (বড়) এবং অসংখ্য মাইনর (ছোট) প্লেট রয়েছে। এই প্লেটগুলো সদা নড়াচড়ায় ব্যস্ত থাকে।
প্লেটগুলো লিথোস্ফেয়ার (Lithosphere) এর উপরের ভগ্নাংশ। যা তার নিচের গলিত প্রায় অ্যাসথেনোস্ফেয়ার (asthenosphere ) এর উপর নড়াচড়া করে। আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের সময় অ্যাসথেনোস্ফেয়ার থেকেই গলিত পদার্থ সমূহ বের হয়ে আসে।
পৃথিবীর মেজর প্লেট সমূহ।
প্লেট গুলোর নড়াচড়ার (Plate tectonics) ধরণ অনুযায়ী একেক প্রকার টপোগ্রাফিক ফিচার (ভূতাত্ত্বিক গঠন) সৃষ্টি হয় বা পৃথিবীর পৃষ্টদেশের পরিবর্তন ঘটে বা অকস্মাৎ কোন দৈবদুর্যোগ হয়। প্লেটগুলোর সদা নড়াচড়ার ফলে সৃষ্ট টপোগ্রাফিক ফিচার যেমন পাহাড়-পর্বত, খাত ইত্যাদি কে বলা যায়।
নিচের ছবিগুলোতে সৃষ্ট কিছু টপোগ্রাফিক ফিচার দেখানো হলো:
আরও একটি থিওরি (কন্টিনেন্টাল ড্রিফট) অনুযায়ী আদি হতে পৃথিবীর বর্তমান অবস্থা:
ভূমিকম্পে মূখ্য ভূমিকাপালনকারী একটি বিষয় হচ্ছে চ্যুতি (Fault) যা দুই প্লেটের সংযোগ স্হল বা প্লেটের ভাঙ্গা অংশের সংযোগ–যেখানে দুটি অংশ পরস্পর থেকে একটু নিচে/ উপরে বা ডানে/বামে সরে অবস্থান করে। নিচের ছবি দুটিতে চ্যুতি (Fault) দেখানো হলো:
ভূমিকম্প?
টেকটোনিক প্লেটের আকস্মিক পরস্পরের বিরুদ্ধে নড়াচড়াকে ভূমিকম্প বলা হয়। কেন্দ্র (Hypocenter) হলো আন্ডারগ্রাউন্ডে যেখানে প্লেটের ঘর্ষণে কম্পের উৎপত্তি হয় আর উপকেন্দ্র (Epicentre) হলো সরাসরি উপরে যেখানে কম্প পৃথিবী পৃষ্ঠকে স্পর্শ করে।
ভূমিকম্প মাপার যন্ত্র
ভূমিকম্প মাপার জন্য সেইস্মোগ্রাফ (seismograph) যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। এখনকার দিনে ভূমিকম্প মাপার জন্য broad band seismograph ই বেশী নির্ভরযোগ্য।
নিচের ছবি দুটোতে সেইস্মোগ্রাফের কার্যপদ্ধতি দেখানো হলো:
সেইস্মোগ্রাফ এর আউটপুট বা সেইস্মোগ্রাম:
ভূমিকম্পকে রিকটার স্কেলে প্রকাশ
কোন ধরনের মাত্রায় কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে
ভূমিকম্প এবং বাংলাদেশ
বাংলাদেশের অবস্থান তিনটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলের কাছাকাছি এবং ইন্ডিয়ান প্লেটের উপর। অন্য দুটি প্লেট হলো ইউরেশিয়ান (ইউরোপ+এশিয়ান) প্লেট এবং বার্মিজ প্লেট। এই তিনটি প্লেট মোটামুটি ইন্টারলকিং (দৃঢ়ভাবে সংযুক্ত এবং কম নড়াচড়া বিদ্যমান) অবস্থায় আছে। এই লক খুলে গেলে বিরাট মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে।
এছাড়া নিম্নের ছবিটিতে আর একটি চ্যুতি নিয়ে আলোচনা করা হলো।
মাণচিত্রে দেখানো হয়েছে বাংলাদেশের সিলেট এলাকার উপর দিয়ে একটি বিশালাকার (প্রায় ২৫০ কিমি) চ্যুতি (Fault) রয়েছে। ডাউকি নদীটি বরাবর চ্যুতিটি বিদ্যমান যাকে ডাউকি ফল্ট (Dauki Fault সংক্ষেপে DF) বলা হয়।
বাংলাদেশের বেশীর ভাগ ভূমিকম্প এই চ্যুতি থেকেই উৎপন্ন হয়।
নিচের চিত্রে আরও একটু পরিস্কারভাবে ডাউকি ফল্ট
বাংলাদেশের ভূমিকম্প জোন
ভূমিকম্প ঝুঁকি অনুযায়ী গোটা বাংলাদেশকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে
সাধারণত ১০০ বছরে বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়ে থাকে। যা বিশেষ করে এই উপমহাদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ১৮৯৭ সালে গ্রেট আসাম নামের ৮.৭ রিখটার মাত্রার যে ভূমিকম্প হয়েছিল তাতে আসাম এবং বাংলাদেশে প্রচুর প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। বাংলাদেশের সিলেটে ৫৪৫ জন এবং ঢাকায় ১৫ জন লোক মারা যায়। এই ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল শিলং মালভূমি।
গ্রেট আসাম ভূমিকম্প হওয়ার ১০০ বছর পেরিয়ে গেছে। তাই আশংকা যে বড় ধরনের ভূমিকম্প সমাগত। ঝুঁকির দিক দিয়ে ঢাকা ২ নং অঞ্চল হলেও ক্ষতিগ্রস্থ বেশী হতে পারে ঢাকাতেই। কারণ এখানে রয়েছে অসংখ্য পুরাতন ভবণ, সুউচ্চ ভবন যার বেশীর ভাগই ভূমিক্ম্প সহনীয় করে বানানো হয়নি। এখনও বিল্ডিং কোড মানা হচ্ছে না-পাইলিংও যথেষ্ঠ দুর্বল। আরও অসংখ্য বিষয় জড়িয়ে আছে এর সাথে–যেমন রাস্তাঘাট অপর্যাপ্ত, বাড়ি/ বিল্ডিংগুলি খুব বেশী ঘেষাঘেষি অবস্থায়। একটির আঘাতে আর একটি বিল্ডিং ভেঙ্গে পড়তে পারে, জনসংখ্যার বিষয়টি তো আছেই। এসব বিষয়ের জন্য বলা যায় ৭ মাত্রার উপরে ভূমিকম্প হলেই ঢাকায় জান মালের ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক হতে পারে।
ভুমিকম্প পূর্বাভাস
ভূমিকম্পের পূর্বাভাস আবহাওয়ার পূর্বাভাসের মত দেয়া সম্ভব নয়। কিছু প্রাণীর অস্বাভাবিক আচরণের থেকে অনুমান করা যেতে পারে। যেমন হঠাৎ করে গর্ত থেকে সাপ, ব্যাঙ, ইদুর বের হয়ে আসলে। গৃহপালিত পশুপাখি অস্বাভাবিক আচরণ করলে। হঠাৎ কোন গ্যাস মাটি ফুরে উপরে আসলে।
এ ব্যাপারে কিছু তথ্য তুলে দেয়া যেতে পারে:
১) ৩৭৩ খ্রি. পূর্বে গ্রীসের হেলিস সিটি ভূমিকম্পে ধ্বংস হওয়ার একদিন পূর্বেই ঐ এলাকা ছেড়ে ইঁদুর, সাপ এবং বেজি অন্যত্র চলে যায়।
২) ইউরেকা শহরে Times-Standard newsroom এর ঘটনা (জানুয়ারী ২০০৯)। সফি নামের একটি কুকুর ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার কয়েক সেকেন্ড পূর্বে ফ্লোরে নাক ঘষে কিছু আন্দাজ করতে পারে। এরপর তার মালিকের সাথে অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে। মালিক সহ সফি বাইরে যাওয়ার পরপরই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। যা সিসি টিভির ক্যামেরা বন্দি হয়।
৩) Zoological Society of London’s Journal of Zoology ‘র এক স্টাডি মতে গবেষকগণ জানান কুনোব্যাঙ (toad) এর মাধ্যমে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস পাওয়া যেতে পারে।
ইটালীর লা’একুইলা (L’Aquila) সিটিতে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পের (৬ এপ্রিল ২০০৯) কয়েকদিন পূর্বে উক্ত স্থান ছেড়ে বেশ কিছু কুনোব্যাঙ তাদের বংশবিস্তার স্থান পরিবর্তন করে অন্যত্র চলে যায়। এই ভূমিকম্পে ১০০ এর মত প্রাণহানি ঘটে। বিজ্ঞানীগণ কুনোব্যাঙের এ ধরনের আচরণ থেকেই এই সিদ্ধান্তে আসেন।
পূর্ব সতর্কতা
ভূমিকম্প শুরু হওয়ার (অনুভূত) সাথে সাথে নিম্নোক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা যেতে পারে:
১) বাসা/ বাড়ীর বাইরে যাওয়া সম্ভব হলে দ্রুত বের হয়ে আসতে হবে
২) সম্ভব হলে বিদ্যুতের মেইন সুইচ দ্রুত বন্ধ করতে হবে
৩) হাতের কাছে টর্চলাইট থাকলে সঙ্গে নিতে হবে
৪) বাইরে দ্রুত বের হওয়া সম্ভব না হলে সিড়ির কাছে দাঁড়াতে/ বসে পড়তে হবে
৫) শক্ত কোন আসবাবপত্র যেমন টেবিলের নিচে বসে/ শুয়ে পড়তে হবে
৬) শক্ত বেডের নিচেও শুয়ে পড়া যেতে পারে
৭) বাড়ীর বাইরে কোন যানবাহনে থাকলে। স্টার্ট বন্ধ করে গাড়ীর বাইরে চলে আসতে হবে এবং মোটামুটি ফাঁকা জায়গায় দাঁড়াতে হবে।
৮) কোন টাওয়ার বা উচু কোন স্হাপনার নিচে দাঁড়ানো উচিত হবে না।
সাম্প্রতিক বিশ্বে: ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি
গত ১২ জানুয়ারী ২০১০, রিকটার স্কেলের ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে হাইতির রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্স প্রায় ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়। হাইতি সরকার জানায় এই ভূমিকম্পে প্রায় ২৩০০০০ প্রাণহানি ঘটে। ৩০০০০০ লোক আহত হয় আর ১০,০০০০০ মানুষ ঘরহীর হয়ে পড়ে। আরও জানা যায় যে ২৫০০০০ বসতবাড়ী ধ্বংস হয় ৩০০০০ কর্মাশিয়াল বিল্ডিং ভেঙ্গে পড়ে বা মারাত্নকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
বিধ্বস্তপ্রায় হাইতির চিত্র
হাইতির বাস্তুহারা লোকজন
সুনামী এবং বাংলাদেশ
সুনামীর কারণগুলো নিম্নে পাই ডায়াগ্রামের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে
১। প্রথম কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে টেকটোনিক এবং ৭৫% সুনামী এই কারণেই হয়ে থাকে ২। এরপর ভূমিধ্বসের ফলেও সুনামী হয় (৮%) ৩। আগ্নেয়গিরি হতে (৫%) ৪। মেটেওরোলজিক্যাল কারণে (২%) ৫। অজানা কারণে বলা হচ্ছে ১০%
টেকটোনিক কারণটা ভূমিকম্পের সাথে সম্পর্কিত। নিচের ছবিগুলোতে দেখানো হয়েছে কিভাবে সুনামীর উৎপত্তি হয়:
১) সুনামীর উৎপত্তি প্লেট মুভমেন্ট (ভূমিকম্পের ফলে) থেকে।
২) এই চিত্রে ধাপগুলো দেখানো হয়েছে। কিভাবে সুনামী স্থলভাগে আঘাত হানে।
৩) পানি চক্রাকারে বা সোজাসোজি চললে কি অবস্থা হবে।
৪) সুনামীর সব ধাপ একচিত্রে।
৫) ম্যাডাম ক্ষুদে শিক্ষাণবিশদের দেখাচ্ছেন কিভাবে প্লেট নড়াচড়ার (ভূমিকম্প) মাধ্যমে সুনামীর উৎপত্তি হয়।
৬) উল্কাপাতের মাধ্যমেও ভূমিকম্প/ সুনামী হতে পারে।
বাংলাদেশে ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বরে সুনামী আঘাত না হানার দুটি প্রধান কারণ:
১) যে ভূমিকম্পের ফলে সুনামী সৃষ্টি হয়েছিল, বাংলাদেশ Fault Plane বরাবর ছিল বলে।
নিচের চিত্রের মত Fault Plane ছিল। যার দরুণ ইন্দোনেশিয়া ও শ্রীলংকাতে মারাত্নকভাবে আঘাত হানলেও বাংলাদেশে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
২) বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরের মহীসোপান (Continental shelf) বেশ বিস্তৃত আর অগভীর বলে।
একটু বিশদ ধারণার জন্য
সমুদ্রের বিভিন্ন অংশের ব্যবচ্ছেদ
আবারও সমুদ্রের বিভিন্ন অংশের ব্যবচ্ছেদ। স্থলভাগের উপরের স্তরকে কন্টিনেন্টাল ক্রাষ্ট আর সমুদ্রের উপরের স্তরকে ওশানিক ক্রাষ্ট বলা হয়ে থাকে।
বঙ্গোপসাগরের মহীসোপান (Continental shelf) সহ অন্যান্য অংশ দেখানো হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরের মহীসোপান (Continental shelf) অনেক বেশী বিস্তৃত আর গভীরতা ৩০ থেকে ৪০ ফুট প্রায়। চট্টগ্রাম থেকে এই মহীসোপান ১০০-১২০ কিমি এবং সুন্দরবন থেকে ৬০-৬৫ কিমি বিস্তৃত। মহীসোপানের এই গভীরতা ও বিস্তৃতিই সুনামী থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করে।
সুনামীর জল তরঙ্গ যে গতি নিয়ে আসে স্বল্প গভীরতার জন্য ঘর্ষণপ্রাপ্ত হয়ে বেশী দূর অগ্রসর হতে পারে না। আবার বিস্তৃত মহীসোপানের শেষ প্রান্তে আসতে আসতে তরঙ্গের গতি অনেক কমে যায়।
সুনামীপ্রবন এলাকার সতর্কবাণী
সাম্প্রতিক বিশ্বে: সুনামী চিত্র
ইন্দোনেশিয়ার বান্দাহ আচেহ। ২০০৪ সালের জুন ও ডিসেম্বরে, সুনামীর আগে ও পরের চিত্র।
সুনামী চলাকালীন প্রবল তরঙ্গের হাতছানি
সুনামীর পর বান্দাহ আচেহ’তে ধ্বংসযজ্ঞ। মাছ ধরার ট্রলারগুলো উপরে উঠে এসেছে।
সুনামীতে বিধ্বস্ত উপকূল
একটি শিশুর নারিকেল গাছ ধরে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্ঠা।
সুনামীর পর শ্রীলংকা উপকূলের দৃশ্য
_________________________________________________________________________________
আমাদের দেশে ৭ মাত্রার বেশী ভূমিকম্প হলে যে ক্ষয় ক্ষতি হবে তা আমরা আগামী ১০০ বছরেও পূরণ করতে পারব না হয়ত । বড় ধরনের কোন ভূমিকম্প না হোক এটাই আমাদের প্রত্যাশা ।
Related Posts
সাতক্ষীরায় মৌলবাদীদের আঘাত কেন বার বার ?
অতি সম্প্রতি আমাদের প্রিয় সাতক্ষীরায় ঘটে গেলো এক নারকীয় তান্ডব। ২০১২ তারিখের ২৬শে মার্চ। স্বাধীনতাRead More
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের টুকরো কিছু গল্প
হুমায়ুন কবির মিন্টুর লেখা থেকে। এশিয়া কাপ শুরুর আগে এই ম্যাচটা দেখার আগ্রহ ছিল অনেকRead More
বিজয়ের ৪০ তম বছরের এই বিজয়ের মাসে একজন খগেন্দ্রনাথ মন্ডলের চলে যাওয়া!
সাইটে ঢুকেই চোখে পড়ল হাসমত ভাইয়ের এই লেখাটি। উনি লেখাটি লিখেছেন আজকের প্রথম আলোর একটিRead More
7 Comments to ভূমিকম্প, সুনামি এবং বাংলাদেশের সম্ভাব্য পরিণতি! আসুন আমরাও ভেবে দেখি
Leave a Reply
For Posting a Comment You must be Logged In.
In Europe, also Mercalli’s Scale is used…
http://en.wikipedia.org/wiki/Mercalli_intensity_scale
it has 12 “degrees” (as follows) …
Personally, I have experience of “degree III” or “IV” (in Italy)
that was enough for me to be afraid.
I cannot imagine what is the Human Experience in the case of terrible earthquakes:
I would express here my profound condolence to all the People which were less lucky than me.
Anyway, once I met a “sign” (see post tsu1) like that in Asma’s great article:
I followed the suggested path (tsu2)
I reachead the “safety” a place that was in my opinion a fatal TRAP (tsu3)
seriously… I’m not kidding you…
Kind regards
I. Instrumental Not felt by many people unless in favourable conditions.
II. Weak Felt only by a few people at best, especially on the upper floors of buildings. Delicately suspended objects may swing.
III. Slight Felt quite noticeably by people indoors, especially on the upper floors of buildings. Many do not recognize it as an earthquake. Standing motor cars may rock slightly. Vibration similar to the passing of a truck. Duration estimated.
IV. Moderate Felt indoors by many people, outdoors by few people during the day. At night, some awakened. Dishes, windows, doors disturbed; walls make cracking sound. Sensation like heavy truck striking building. Standing motor cars rock noticeably. Dishes and windows rattle alarmingly.
V. Rather Strong Felt outside by most, may not be felt by some outside in non-favourable conditions. Dishes and windows may break and large bells will ring. Vibrations like large train passing close to house.
VI. Strong Felt by all; many frightened and run outdoors, walk unsteadily. Windows, dishes, glassware broken; books fall off shelves; some heavy furniture moved or overturned; a few instances of fallen plaster. Damage slight.
VII. Very Strong Difficult to stand; furniture broken; damage negligible in building of good design and construction; slight to moderate in well-built ordinary structures; considerable damage in poorly built or badly designed structures; some chimneys broken. Noticed by people driving motor cars.
VIII. Destructive Damage slight in specially designed structures; considerable in ordinary substantial buildings with partial collapse. Damage great in poorly built structures. Fall of chimneys, factory stacks, columns, monuments, walls. Heavy furniture moved.
IX. Violent General panic; damage considerable in specially designed structures, well designed frame structures thrown out of plumb. Damage great in substantial buildings, with partial collapse. Buildings shifted off foundations.
X. Intense Some well built wooden structures destroyed; most masonry and frame structures destroyed with foundation. Rails bent.
XI. Extreme Few, if any masonry structures remain standing. Bridges destroyed. Rails bent greatly.
XII. Cataclysmic Total destruction – Everything is destroyed. Lines of sight and level distorted. Objects thrown into the air. The ground moves in waves or ripples. Large amounts of rock move position. Landscape altered, or leveled by several meters. In some cases, even the routes of rivers are changed.
good and informative.
wishing to read on flood and cyclone…….
আপনি একটা লিখে ফেলুন ভাইয়া ।
হুমমম খুলনা অনেক ভাল সব দিক দিয়ে । খুলনা চলে আসেন সবাই ঢাকা ছেড়ে
হুম, নলেজেবল লেখা । কাজে লাগবে । জিওলজির ক্লাস করলাম মনে হচ্ছে । ইউনিভার্সিটিতেও এত মনযোগ দিয়ে কিছু পড়িনি । ধন্যবাদ আসমা ।
Yes, Nice article. Thank you Asma apu for sharing this with us.
আসমা, আপনার লেখাটা পড়ে অ-নে-ক কিছূ জানতে পারলাম যেটা এর আগে আমি জানতাম না। সেকারণে এই লেখাটা সাইটে দেওয়ার জন্য আপনাকে কি বলে ধন্যবাদ জানাব সে ভাষা আমার জানানেই। আপনার লেখাটা পড়ে সবারই উপকার হবে। আমরা যদি সবাই এভাবে লেখা-লেখি করি তাহলে আমাদের এই সাইটটা আরো সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে এমন বিশ্বাস আমার আছে। আপনি ভাল থাকেন, সুস্থ্য থাকেন, সুন্দর থাকেন এই কামনা করি।